এনআইডি অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার | NID Account Registration
জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড, ভোটার তথ্য সংশোধন ও NID Card reissue সহ এনআইডি কার্ডের যাবতীয় সেবা পেতে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করতে হয়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এনআইডি শাখার অফিসিয়াল ওয়েব সাইট NIDW (Nid wing) এই ওয়েব সাইট NID Service নামে বেশ পরিচিত।
তাই আইডি কার্ডের যেকোন সেবা পেতে হলে service.nidw.gov.bd এই সাইটে ফরম নাম্বার এবং জন্ম তারিখ অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার এবং জন্মতারিখ ব্যবহার করে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। চলুন দেখে নেই NID একাউন্ট রেজিস্টার করতে কি কি প্রয়োজন।
- নিবন্ধন ফর্ম (voter slip)
- NID Number
- জন্ম তারিখ
- ঠিকানা
- সচল মোবাইল নাম্বার
NID Account Registration করার এক পর্যায়ে Face Verification করার প্রয়োজন হয়। তাই যার আইডি কার্ড তাকে উপস্থিত থাকতে হয়।
এনআইডি অ্যাকাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম
NID একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য services.nidw.gov.bd ওয়েব সাইটে ভিজিট করে জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা ফর্ম নাম্বার এবং জন্ম তারিখ লিখে সাবমিট করতে হবে। আইডি কার্ডের স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা নির্বাচন করতে হবে। তারপর মোবাল নাম্বার ও ফেস ভেরিফিকেশন করে NID Account Registration কমপ্লিট করতে হবে।
NID ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করার প্রক্রিয়াটি একটু লম্বা হলেও সম্পূর্ণ বিষয়টি কয়েকটি ধপে বিভক্ত করে নিলে খুব সহজে মাত্র ৫ মিনিটে একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। আপনাদের বুঝার সুবিধার জন্য NID একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি কয়েকটি ধাপে ছবি সহ বর্ণনা করা হয়েছে।
NID Account Registration
অ্যাকাউন্ট রেজিষ্ট্রেশনের জন্য সরকারি এনাইডি সারভিসের https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিংকে প্রবেশ করুন। একাউন্ট তৈরি করার জন্য রেজিস্টার করুন বাটনে চাপুন।
এখন আপনার সামনে নতুন আরেকটি পেজ ওপেন হবে। এনাইডি ফর্ম নাম্বার অথবা NID Card এর নাম্বার ইনপুট করার একটি ইনপুট ফিল্ড এবং জন্ম তারিখ লেখার জন্য আরো ৩টি (dd-mm-YYYY) ইনপুট ফিল্ড দেখতে পাবেন।
এখনো আইডি কার্ড হাতে না পেয়ে থাকলে ভোটার হওয়ার সময় যে স্লিপ বা টোকেন দেয়া হয়েছিলো সেই ভোটার ফর্ম নাম্বার এবং আপনার জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। যারা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য অথবা হারানো আইডি কার্ড রি-ইস্যু আবেদন করার জন্য রেজিস্টার করতে চান তারা nid number and Date of Birth ব্যবহার করে Account Registration করুন।
প্রথম ইনপুট ফিল্ডে ফর্ম নাম্বার অথবা আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে তার পরের ঘর গুলোতে যথাক্রমে দিন, মাস এবং বছর (DD-MM-YYYY) লিখুন। তারপর সিকিউরিটি ক্যপচাতে দেখানো অক্ষর গুলো নিচের ফিল্ডে লিখে “সাবমিট” বাটনে চাপুন।
আইডি কার্ডের ঠিকানা যাচাই
ভোটার হওয়ার আবেদনের সময় আপনার বর্তমান ঠিকানা যেটি দেয়া ছিলো সেটি বর্তমান ঠিকানায় প্রথমে বিভাগ তারপর জেলা এবং উপজেলা নির্বাচন করুন। ঠিকানা নিশ্চিত করতে এই ৩টি তথ্য দিলেই হয়।
ঠিক একই ভাবে আপনার স্থায়ী ঠিকানা ঘরে আপনার ঠিকানা অনুসারে বিভাগ > জেলা > উপজেলা সিলেক্ট করুন। মনে রাখবেন আইডি কার্ডের থাকা বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার সাথে আপনার প্রদত্ত ঠিকানার তথ্য না মিললে পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন না। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য সঠিক ভাবে সিলেক্ট করে “পরবর্তী” বাটনে চাপুন।
মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন
মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করার এনআইডি একাউন্ট রেজিস্টার করার আরো একটি ধাপ। এখানে আপনার আইডি কার্ড নিবন্ধনের সময় যে নাম্বারটি দেয়া হয়েছিলো সেটির কিছু অংশ দেখাবে। সেই মোবাইল নাম্বারটি আপনার কাছে থাকলে বার্তা পাঠানে ক্লিক করুন।
আর যদি ঐ নাম্বারটি সচল না থাকে তাহলে মোবাইল পরিবর্তন বাটন চেপে আপনার হাতে থাকা সচল মোবাইল নাম্বারটি লিখে বার্তা পাঠান বাটন চাপুন। এখন আপনার মোবাইল নাম্বারে নির্বাচন কমিশনের sms সিস্টেম হতে কোড পাঠাবে। আপানার মোবাইলে আসা ৬ সংখ্যার কোডটি বসিয়ে মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করুন।
জাতীয় পরিচয়পত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। যেহেতু অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে আইডি কার্ড ডাউনলোড, সংশোধন এবং রি-ইস্যু করা যায়, তাই NID Account এ প্রবেশ করার বিষয়টি নিরাপদ রাখতে হয়। এর জন্য এড্রেস, মোবাইল ও ফেস ভেরিফিকেশন করা হয়।
QR কোড স্ক্যান
অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে ফেইস ভেরিফিকেশন। এটি করার জন্য প্রথমে Goole Play Store থেকে NID Wallet অ্যাপ ইন্সটল করতে হয়। মোবাইল নাম্বার যাচাই করার পর একটি QR Code দেখতে পাবেন।
এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপটি ফোনে ডাউনলোড হয়ে গেলে সেটি ওপেন করুন। তারপর অ্যাপটি QR কোড স্ক্যান করার জন্য ক্যমেরা পারমিশন চাইবে, সেটি এলাউ করে দিন। স্ক্যান করার জন্য রেডি হলে QR Code স্ক্যান করুন। আপনি যদি সম্পূর্ণ প্রসেসটি মোবাইল দিয়ে করে থাকেন তাহলে NID Waller লিংকে অথবা QR কোডে টেপ করুন।
ফেইস ভেরিফিকেশন
ফেইস ভেরিফিকেশনের জন্য পর্যাপ্ত আলো আছে এমন একটি স্থানে চলে যান। চোখে চশমা থাকলে সেটি খোলে ফেলুন। মাথায় বড় ঘোমটা কিংবা টুপি থাকলে কখনো কখনো ফেস স্ক্যান ব্যর্থ হয়, তাই সমস্যা এড়াতে এবিষয়ে একটু সতর্ক থাকতে হবে।
QR কোড স্ক্যান করার পরে Nid Wallet অ্যাপস থেকে Start Face Scan বাটনে ক্লিক করে ফেইস ভেরিফিকেশন শুরু করতে হবে। Start Face Scan বাটনে ক্লিক করার পরে অটোমেটিক ক্যামেরা ওপেন হবে এখানে ব্যক্তির মুখমন্ডল প্রথমে সোজাসুজি ক্যামেরার দিকে রাখুন।
Face Verification করার সময় ব্যক্তির চোখের পলক এবং মাথা ডানে-বামে নাড়াতে হয়। ব্যক্তিকে সনাক্ত হয়ে গেলে অনলাইন থেকে nid card download করার জন্য আনুমোদন দেয়া হয়। Face verify এর মধ্য দিয়ে সফল ভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র ওয়েবসাইটে আপনার একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে, আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি ডাউনলোড করার জন্য প্রস্তুত।
পাসওয়ার্ড সেট
NID অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করা একটি লম্বা প্রসেস এবং কয়েকটি ভেরিফিকেশনের মধ্যদিয়ে আসতে হয়। তাই যাতে বার বার এই কাজ গুলোর পুনরাবৃত্তি করতে না হয় সেজন্য পাসওয়ার্ড সেট করতে পারেন। পাসওয়ার্ড সেট করা অপশনাল বিষয় চাইলে পাসওয়ার্ড সেট না করে এড়িয়ে যান বাটন চেপে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবেন।
পাসওয়ার্ড সেট করতে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড লিখুন। ইউজারনেম না দিলে আপনার এনআইডি নাম্বারটি ইউজারনেম হিসেবে সেট হবে। একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে সেটি রিসেট করার অপশন রয়েছে। তাছড়া পাসওয়ার্ড যুক্ত একাউন্টে আজকের দেখনো নিয়ম অনুসারেও পাসওয়ার্ড ছাড়া প্রবেশ করা যাবে।
নতুন ভোটার আবেদন | ভোটার হোন |
ভুল সংশোধন | NID সংশোধন করুন |
এনআইডি কার্ড ডাউনলোড | Download Now |